নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে শহীদ এম. মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সিং সেবা এবং জনসেবায় নিবেদিত মনোভাব এ হাসপাতালকে স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি সিরাজগঞ্জের কৃতী সন্তান এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সহযোদ্ধা শহীদ এম. মুনসুর আলীর নামে নামকরণ করা হয়। শুরুতে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হলেও বর্তমানে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে।
হাসপাতালে রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, শিশু বিভাগ, গাইনী বিভাগ, মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিকসসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত বিভাগ। পাশাপাশি রয়েছে ২৪ ঘণ্টার জরুরি চিকিৎসা সেবা ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা।
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন পাঠদান ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়ে দেশের চিকিৎসা খাতে অবদান রাখার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে কিছু সমস্যা এখনও বিদ্যমান। হাসপাতালের রোগীসংখ্যা দিন দিন বাড়লেও জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকট দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে এটি শুধু সিরাজগঞ্জ নয়, বরং সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য এক নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিণত হবে— এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।