সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অসহনীয় গরমে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা। শরীরকে শীতল রাখতে ও পিপাসা নিবারণে অনেকেই কিনছেন এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলটি।
শনিবার (১৪ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মেঘাই, সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, নাটুয়ারপাড়া, গান্ধাইল, মাইজবাড়ী, আলমপুর, তেকানী, জজিরা, কুমারিয়াবাড়ি, শিমুলদাইড়, হরিনাথপুর, সিমান্তবাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড় ও বাজারে দা দিয়ে তাল কেটে ক্রেতাদের সামনে পরিবেশন করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও গরম উপেক্ষা করে অনেক আগ্রহ নিয়ে কিনছেন তালশাঁস। তালশাঁস ক্রয়কারী বিদ্যালয় ছাত্র নাজমুল হাসান পাপন বলেন, তাল কাঁচা থাকার সময়ও খাওয়া যায়। তাই অনেকেই একে পানি-তাল হিসেবে কিনে ঘরেতে ফেরেন।
মেঘাই পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় তালশাঁস ব্যবসায়ী আবু রায়হান বলেন, প্রতিটি তালে ৩-৪টি শাঁস থাকে। একটা তাল গড়ে ১০-১৫ টাকায় এবং পাইকারিতে ৪-৫ টাকায় কিনতে পারছি। গরম বাড়লে এর চাহিদাও বাড়ে। প্রতি বছর এই মৌসুমে তালশাঁসই আমার ব্যবসার প্রধান উপার্জন।
কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন, তালশাঁস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে শরীরকে আর্দ্র রাখতে ও পানি শূন্যতা দূর করতে এটি কার্যকর। তালশাঁসে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও এ, বি কমপ্লেক্সসহ অনেক পুষ্টিগুণ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। কচি তালশাঁস অ্যানিমিয়া দূর করে, দৃষ্টি ও মুখের রুচিতে উপকার করে।