নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিবের ওপর হামলার ঘটনাকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলাম। একটি চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিষয়কে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে জামায়াতের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দাবি করেছেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের দরগাহ রোডস্থ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ এপ্রিল উল্লাপাড়া পৌর বাস টার্মিনালে ইজারাকৃত ঘাট থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাবেক উপজেলা সদস্য সচিব আজাদ হোসেন ও তার সমর্থকরা ইজারাদার পক্ষের হাফিজুলসহ কয়েকজনকে মারধর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। পরদিন রামকান্তপুর গ্রামের বিভিন্ন মতের ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের ওপর আক্রমণ করে। এতে তিনি আহত হন। এ ঘটনা ছিল ব্যক্তিগত ব্যাবসা ও চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই ও তার সুস্থতা কামনা করি।
অভিযোগ করে জামায়াত নেতা বলেন, প্রথমে জেলা বিএনপি বিবৃতি দিয়ে জানায় ঘটনার সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা জড়িত। কিন্তু পরে রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে দায়ী করে অস্ত্র নিয়ে মিছিল-মহড়া চালায় এবং বাঙালা ও বড়হর ইউনিয়নের অফিস ভাঙচুর করে। শহরে ছাত্রদলের মিছিল থেকে ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ এ ধরনের ফৌজদারি অপরাধমূলক স্লোগানও দেওয়া হয়।
মাওলানা শাহিনুর আলম বলেন, উল্লাপাড়ার এই ঘটনা পুরোপুরি অরাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এতে জামায়াতের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং মামলায় আসামিদের অধিকাংশই বিএনপি-সম্পৃক্ত। জামায়াতকে টার্গেট করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা জামায়াতের আমির বলেন, উক্ত ঘটনায় হাফিজুল নামে যে জড়িত ছিল তাকে আমরাই ধরিয়ে দিয়েছি। সে জামায়াতের একজন কর্মী মাত্র। তবে শিবিরের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ইতোমধ্যেই তাকে জামায়াত থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সুপারিশ করেছি।
সকল পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা শাহিনুর আলম রাজনৈতিক উত্তেজনা না ছড়ানোর অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলহাজ উদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।