শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুরে হিন্দু নারী ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনা এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত। ঘটনাটি ধামাচাপ দিতে মরিয়া ওই ওয়ার্ল্ড ইউপি সদস্য তার লোকজন। ক্ষতিপূরণের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ নারীকে না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানের জানা যায়, গত ১৭ ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নারী বাড়ির পাশের ভুট্টো পাতা ছিড়তে যায়। এ সময় সুযোগ বুঝে পার্শ্ববর্তী খরনা সরকার পাড়ার আনসার আলীর পুত্র বরাত আলী (৩৭) তাকে চেষ্টা করে। অনেক চেষ্টার পর ভুক্তভোগী মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে ধর্ষণ চেষ্টাকারী দ্রুত পালিয়ে যায়।
দুর্ঘটনার শীকার মহিলা জানান, তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে তার ভাই শ্রী পলাশকে ঘটনাটি জানান। পরবর্তীতে তার ভাই ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও খরনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহমান কালু ও খরনা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আবুল কাশেম ও খরনা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খরনা সরকার পাড়া গ্রামের মৃত্যু আক্তার হোসেনের পুত্র ফেরদৌস(৩৫) কে জানালে তারা বিষয়টি তৎক্ষনাৎ বিচারের মাধ্যমে আপোস মমাংসা করেন।
ভিকটিম মহিলা আরো জানান, সালিশে অনেকেই ছিল।তাদের মধ্যে মেম্বার, আবুল কাশেম ও ফেরদৌস বিবাদী বরাত আলীকে ক্ষমা করতে বলে। বিনিময়ে কিছু জরিমানার ব্যবস্থা করে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তার পরের দিন। ক্ষতিগ্রস্ত বাদী পক্ষের কেউ জানেনই না যে ঘটনার দিন বিচারের পূর্বেই বিবাদি বরাত আলীর নিকট থেকে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০হাজারর টাকা নেওয়া হয়েছে।
ভিকটিমের ভাই পলাশ জানান, ক্ষতিপূরণের টাকা চাইতে গেলে, তারা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এবং যত সামান্য টাকায় তাদের হাতে দেওয়া হয়। বাকি টাকা তাদের ছেলেপেলের জন্য খরচ হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর পরে এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যপক সমালোচনা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের এমন কান্ডে হতবাক স্থানীয় জনগণ। খরনা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসা করা তিনি ওইদিন দরবারেই ছিলেন না বলে ফোন কেটে দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কালু জানান, সামান্য কিছু টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং সে টাকা ভিকটিমের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম একাত্তর সংবাদকে জানান, এ সম্পর্কে আমি অবগত নই, অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।