একাত্তর সংবাদ
প্রকাশ : Mar 20, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

যোগ্যতায় আপনার অন্তত বাংলাদেশ নামক জনপদে চাকরি হবে কি!

এইচ এম হাকিমঃ সিস্টেম নামক শব্দটি  বাংলাদেশের জন্য বড্ড বেমানান,যে দেশের মানুষ দেশকে বাঁচানোর জন্য নিজের গায়ের তাজা রক্ত দিতে একটুও পিচ পা হয়না, সে দেশে অন্তন সিস্টেম নামক সুপারিশের ভিত্তিতে চাকুরী হতে পারেনা। একটি ছেলে - মেয়ের  চাকুরী হবে তার মেধার যোগ্যতায়, কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭১ এর পড় থেকে আজ অবদি এই সিস্টেম নামক রেফারেন্স এখনো বিদ্যামান রয়েই গিয়েছে।

এই রেফারেন্স নামক সিস্টেমটি দুর্নীতি গ্রস্থ ব্যক্তিকে আরো দুর্নীতি করতে ব্যাপক হাড়ে সহযোগী করে আসছে। এইতো সাম্প্রতি দেশ টিভি সহ কয়েকটি মিডিয়াতে রেফারেন্স নামক সিস্টেমের সংবাদটি দেখে অবাক হয়েছি, প্রতিটা পেইজে রেফারেন্সের ঘর কিংবা বক্স দেখে। দেশ টেলিভিশনের ওই রিপোর্টের পর এখন নিয়োগের ওই পেইজগুলো সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে। 

প্রতিটা পেইজে "রেফারেন্স" হিসাবে আলাদা একটা ঘর আছে। সেখানে কোথাও লেখা- এমডি স্যার, কোথাও সমন্বয়কদের নাম, কোথাও অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা বড় বড় কর্তাদের নাম। অর্থাৎ এরা রেফার  করেছে নিজেদের প্রার্থীকে। 

কে বা কারা রেফার করেছে; এটা আমার কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি বরং অবাক হয়েছি- রেফারেন্সের জন্য আলাদা বক্স দেখে। অর্থাৎ এটা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে চর্চিত একটা বিষয়। আপনাকে যদি চাকরি পেতে হয়, তাহলে কারো না কারো রেফারেন্সে যেতে হবে! 

ভাবছিলাম কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কথা। প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী পাশ করে বের হয়। কিংবা এর চাইতেও বেশি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এদের মাঝে কয়জনের এমন চেনা-পরিচিত আছে? কয়জন এমন রেফারি খুঁজে যাবে; যে কিনা তাঁকে চাকরির জন্য রেফার করবে? 

তাঁর মানে হচ্ছে- রেফারেন্সের ঘরে আপনার ক্ষেত্রে কিছু লেখা থাকবে না। অর্থাৎ চাকরিটা আপনি পাবেন না। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে? 

চাকরি পাবার জন্য আর কিছু না- আপনার দরকার একটা রেফারেন্স। পড়াশুনা, জ্ঞান অর্জন সব কিছু বাদ দিয়ে যদি আপনি একজন রেফারি খুঁজে পান। তাহলেই চলছে। 

এই রেফারেন্সের ঘর কিংবা বক্সটাকে যদি আজীবনের মত রিমুভ করতে না পারেন। তাহলে জেনে রাখুন- নিজ যোগ্যতায় আপনার অন্তত বাংলাদেশ নামক জনপদে চাকরি হবে না। এর নাম বাংলাদেশ যে যখন ক্ষমতার চেয়ারে বসে সে তার খেয়াল খুশি মতো কাজ করে। তাদের কাউকে নিয়ে ভাবার সময় নেই। এটাকেই বলা হয় সিস্টেম! 

এ সিস্টেম থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ভার গ্রহণ করা বৃক্তিরা যদি অতি শিগ্রই বাহির হতে না পাড়ে, তা হলে এ দেশ অল্প কয়েক বছরের ভিতরে মৃধা শুন্যর কাতারে এসে দাঁড়াতে, আর বেশি সময় লাগবেনা।

আমরা বাঙ্গালী এ দেশ আপনার আমার লাখো কোটি বাঙ্গালীর, এ দেশ আমরা সকলে মিলে যদি সিস্টেম এর কবর রচনা করতে পাড়ি তা হলেই যোগ্য ব্যক্তিটি মৃধা তালিকার মাধ্যমে যোগ্য স্থান দখল করে বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙ্গালীর সেবা প্রদাণ করতে পাড়বে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পটিয়া হাবিলাসদ্বীপে সুদখোর প্রতারক সজল কান্তি দে’র বিরুদ্ধে

1

হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপি'র ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

2

কামারখন্দে শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির শুভ উদ্বোধন

3

মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন

4

১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনা প্র

5

পলাশবাড়ীর মনোহরপুরে বিএনপির উদ্যোগে ২৬ মার্চ ও জাতীয় দিবস উদ

6

পটিয়া কাশিয়াইশ ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

7

Statement of Position of the Bangladesh Rural Electrificatio

8

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা গেছে

9

মরহুম মফিজ উদ্দিন তালুকদারের ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স

10

বাহুবলে বিদ্যুৎ ও রাস্তা ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা

11

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

12

দেড় থেকে দুই কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দেওয়া সম্ভব: বাণিজ্য

13

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ

14

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নববর্ষের আনন্দ

15

ভূঁইফোড় অনলাইন পত্রিকার লিংক পাঠিয়ে টাকা চেয়ে প্রকৌশলী আব্দু

16

সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ গঠন করতে হবে: পাবনায় রফিকুল ইসলাম খান

17

১৬ বছর পর আগের নিয়মে ফিরছে প্রাথমিকের বৃত্তি

18

বগুড়ায় আ.লীগ নেতা শফিককে আদালতের হাজতখানায় মারধর

19

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আসুন আলোচনা শুরু করি: তারেক রহমান

20