যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর জেলার অভয়নগর থানার বিএনপির পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম(৫০) কে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম সুন্দলি ইউনিয়নের ডহর-মশিয়াহাটি স্থানে একটি মাছ চাষের ঘেরের দায়িত্ব নেন, পরে সেই সূত্র ধরে পিন্টু বিশ্বাস এর বাড়ি ফেলে তাকে হত্যা করা হয়।
আনুমানিক রাত ৭ টার দিকে তাকে খুন করা হয় তারপর উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ আসে এবং লাশ পোস্টমেডাম এর জন্য নিয়ে যান। এখনো কোনো আসামি সনাক্ত করা যায় নি তবে জানা যায় ঘটনা স্থানের বাড়িটির মালিক পিন্টু বিশ্বাস তাকে ফোন করে ডাকেন এবং তরিকুল ইসলাম তাদের জন্য মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। তরিকুল কে যে বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনা স্থানেই পড়ে থাকা তরিকুলের পাশে মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া যায়।
ঘটনার মুল সাক্ষী তরিকুলের সাথে থাকা ব্যাক্তির মাধ্যমে জানা যায়, আনুমানিক ৬ জন দুর্বৃত্ত তাকে হত্যা করেন এবং এই দেখে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
তবে এই ঘটনার পরেই ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা, তরিকুল ইসলাম যেখানে খুন হয় সেই এলাকা ধরেই নিরিহ সংখ্যালঘু পুরো এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ ঘরবাড়ি মন্দিরে ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়, ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের ঘটনা স্থানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
একটি বাড়িতে হিন্দুদের যজ্ঞ হচ্ছিলো সেখানে গিয়েও দুর্বৃত্ত রা হামলা চালায় এবং পুজা উৎসব বন্ধ করে দেয়। সুন্দলি বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকান গুলোতে লুটপাট হয়, পরবর্তীতে সেখানকার স্থানীয়রা হুঙ্কার দিলে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, আনুমানিক ৩০-৪০ জন এ ঘটনায় জড়িত ছিলো তাই কেও সাহস করে তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ করেন নি। এবং ভয়ে কেও থানায় যাচ্ছেন না।
আরো জানান, প্রায় ২০ পরিবার সর্ব্বহারা, আগুন ধরানোর ঘটনাটি সোস্যালমিডিয়ায় প্রতিবাদ হলেও কোনো নেতাকর্মীদের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
তবে, স্থানীয় সূত্রে উঠে আসে তরিকুলের হত্যাকে কেন্দ্র করে নিরীহ নিপিড়ীত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা করা হয়।
তিনি বলেন, দুই দশকের মতো পরিবার ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন রান্না ঘর পুজা মন্ডব এবং অর্থ সম্পদ সব লুটে নিয়ে তাদের নিঃস্ব করা হয়েছে। এ-সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।