শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ গতকাল আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিপা চারমাথা এলাকায় খাজনা আদায়ে বড় ধরনের সহিংসতার পর শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে হাটের সীমানার বাহিরে গিয়ে খজনা তোলা এবং সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাইফুর রহমান। চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে জনগণকে সরব থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউএনও তাইফুর রহমান এক জরুরি বার্তায় জানান, সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র নির্দিষ্ট হাটের দিন এবং নির্ধারিত স্থানেই খাজনা আদায় করা যাবে। গ্রাম বা ফসলি জমিতে গিয়ে খাজনা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। কেউ যদি হাটবার ছাড়া অন্য কোনো সময় বা স্থানে খাজনা তুলতে আসে, তবে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো ধরনের মারপিট বা ভাঙচুর থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেন ইউএনও।
তিনি আরও বলেন, "আমরা শুধু হাটবাজার ইজারা দিয়েছি। ইজারার আওতায় শুধুমাত্র হাটবাজারেই খাজনা আদায় করা যাবে। এর বাইরে কারও খাজনা তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেউ যদি হাটের বাইরে খাজনা তোলে, তার ইজারা বাতিল করা হবে।"
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নীরবতার ফাঁদে আটকে গেছে ইজারাদারগণ।বিগত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তরের হাট বাজারগুলো গ্রামীণ পর্যায়ে মৌখিকভাবে সীমানা নির্ধারণ করে দিতেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার সহযোগী ব্যক্তিরা। ৫ আগস্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর, সচেতন জনগণ আগের নিয়মগুলো মানতে নারাজ।
এমন পরিস্থিতিতে কাব্য নিয়োগ করে হাত নিয়ে বিপাকে ইজারাদার গণ।
বিষয়টি আজ করতে পেরে উপজেলা প্রশাসন জরুরী নির্দেশনা জারি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজারাদার জানিয়েছেন, যদি এভাবেই খাজনা আদায়ের সিস্টেম হবে কেন লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করা হলো। আমরা তাহলে এত টাকায় হার্ট ডাকতাম না।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং অনিয়ম রোধে মোবাইল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।