প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 15, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 5, 2025 ইং
দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষের স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন ছিল দুঃস্বপ্নের মত: মোহাম্মদ মিন্টু

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটেছিল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের শাসনামলের দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষের স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন ছিল দুঃস্বপ্নের মত- অনেকটা আক্ষেপের সুরে এভাবেই বলছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: মিন্টু।
কেরানীগঞ্জে নির্যাতিত নিষ্পেষিত উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলহাজ্ব মিনহাজ মিনার হোসেনকেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তারা খেয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে,বাড়ি ছাড়া করেছে। সন্তান, স্ত্রী ছেড়ে পালিয়ে বেরিয়েছি।
শুক্রবার (২রা মে) উপজেলা যুবদলের এই নেতা এলাকায় তার নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিক পিন্টু শেখকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে বিরোধী মত দমনে হামলা, মামলা, জেল- জুলুম ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিন্টু শেখ, আরো বলেন, বিরোধী মত দমনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নেক্কারজনক ভাবে ব্যবহার করেছিল। বাবা রাজনীতি করার অপরাধে ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া কিংবা ছেলে রাজনীতি করার অপরাধে বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়া ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। আবার এক ভাই রাজনীতি করার কারণে তাকে না পেয়ে অন্য ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ছিল খুব কষ্টদায়ক।
দীর্ঘ ১৬ বছরের স্মৃতিচারণ করে উপজেলা যুবদল ও বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি করার অপরাধে নেতা-কর্মীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেও জানাযায় আসতে পারত না। এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পরও তাদের কবর জিয়ারত করতে পারেনি। কতটা হিংসাত্মক ছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামল তা কখনোই বলে বোঝানো সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন উপজেলা যুবদলের এই নেতা।
নির্যাতনের সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় খুঁজে না পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভাঙচুর করতো তাদের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।
উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিন্টু জানান, ৩ টি মামলা ছিল তার নামে, যার প্রতিটিই ছিল মিথ্যে মামলা। শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার কারণে নানা রকম হয়রানী সহ দীর্ঘ সময় ধরে মিথ্যে মামলার বোঝা বয়ে বেড়াতে হয় তাকে। কিন্তু রাজনীতির রাজপথের সৈনিক হিসেবে কখনো ভেঙে পড়েননি তিনি।
বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের সাথে অসংখ্যবার জেল জীবনে সময় পার করা মিন্টু আরো বলেন, রাজনৈতিক আস্থার ঠিকানা হিসেবে জননেতা আমান উল্লাহ আমানের মাঝে আমরা আলোকিত কেরানীগঞ্জ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে পাই।
১৯৯১ সাল থেকে শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া মোহাম্মদ মিন্টু আরো বলেন, জনপ্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার সুযোগ্য পুত্র ইরফান আমান অমিরের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জবাসী পূর্বের মতো সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ একাত্তর সংবাদ