নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শ্রমিক পরিবহনের প্রবীন বাস (চালক) তাহির খান মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) 

জানাযায়, সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের বাসিন্দা মরহুম গফুর খান এর পুত্র তাহির খান (৭০) হবিগঞ্জ জেলা মালিক সমিতির অধিনস্ত শ্রমিক পরিবহনের সদস্য হিসাবে(বাস)চালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি সুনামের সহিত দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে গাড়ি চালক হিসাবে বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। তার দীর্ঘ সময়ে অনেকেই গাড়ি চালক হিসাবে গড়ে তুলেছেন। যারা জেলা শহর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্হানে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তাহির খান বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন রোগে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে তাহির খান'র মৃত্যুর সংবাদটি এলাকাবাসীসহ হবিগঞ্জ বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে তাকে এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে শত,শত নারী-পুরুষ,গাড়ির শ্রমিক(চালক)ভীড় জমান। তাকে দেখতে আসা লোকজনের আলাপকালে শুনা যায়, তিনি খুবই ভালো ও অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন।

তার দীর্ঘদিন গাড়ি চালানোকালে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। এমনকি সুনামের সহিত গাড়ি ডিপার্টমেন্টে গাড়ি চালানোকালে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ভালো চালক হিসাবে পুরস্কৃত ও হয়েছেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শ্রমিক পরিবহন নেতৃবৃন্দ। 

এছাড়াও তাহির খান সম্পর্কে এলাকার লোকজনও ভালো মানুষ হিসাবে তার প্রশংসা করেন। তাহির খান মৃত্যুকালে স্ত্রী তিন পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তান, নাতি,নাতনীসহ অনেক আত্বীয় স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

পরে ১টায় বহুলা জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে লাশটি হবিগঞ্জ শাহী ঈদগাহ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২টায় এলাকাবাসী ও হবিগঞ্জ শ্রমিক পরিবহনের শত,শত মুসল্লীগনের অংশ গ্রহনে তাহার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা নামাজ শেষে তার লাশটি বড়বহুলা ও মোহনপুর গ্রামবাসীর কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।