চৌধুরী হারুনঃ রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের টোলের দরপত্র নিয়ে দলীয় নেতাদের লুকোচুরি। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে জন্য উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করে। গত ১৫ বছরে মধ্যে মাত্র দুই অর্থবছরে প্রকাশ্যে নিলাম দিতে পেরেছে বলে ঠিকাদার একাংশ অভিযোগ করেছেন। সম্পুর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে মাত্র দুইটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ঠিকাদার দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ১১৯ টি দরপত্র ক্রয় করতে দেখা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ সালের  উপজেলা মানিকছড়ি টোলআদায় কেন্দের দরপত্রের ৭৮লক্ষ ৬০হাজার টাকা মাত্র । ২০২৪-২০২৫ সালে  উপজেলা মানিকছড়ি টোল আদায় দরপত্রে ডাকছিল  ৮০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। 

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ দরপত্রে ৮০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। শিডিউল বিক্রি হয় ১১৯ টি তারমধ্যে ড্রপিং করেছে শুধু তিনটি ১১৬ টি শিডিউল ফেলতে দেয় নাই দলীয় ঠিকাদার ও কমীরা । দলীয় (্অউপজাতি ঠিকাদার সমিতি) অফিসে ডাক উঠেছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষাধিক টাকা। ১১৯টি দরপত্রের বিপরীতে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা  নিকোজিশন করেছে- ৫৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় । বাঙ্গালী ঠিকাদার অফিসে নেগোাজিশন মাছ মাহফুজের নেতৃত্বে বিএনপি অফিস দখল করে রেখেছে দুই থেকে তিন  হাজার টাকায় কর্মী দিয়ে পাহাড়া বসিয়েছে। মহিলা কর্মী এনে তল্লাশি করেছে মহিলাদের কেউ যেন সিডিউল নিয়ে ড্রপিং করতে না পারে। কাজ নিয়েছেন সরকারী আয়কর ফাকি দিতে মেসার্স উচ্যান্দা এনারপ্রাইজ, ২য় সুমিত দেওয়ান ও তয় যমুনা কনষ্ট্রাশন। অধিকাংশ ঠিকাদার  ইজিপি টেন্ডার তাহলে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব পাবে। এতে সরকারের বিপুল অংকের সরকারি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা প্রতিবেদক জানায়, অফিসের বাহিরে কি হয়েছে আমার জানা নেই,তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে দরপত্র বাতিল বাতিল করা হবে। এবার একসঙ্গে দরপত্রে উল্লেখিত সকল অর্থ এক সঙ্গে জমা করার জন্য নোটিশ দিয়েছি ।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবদলের শীর্ষ নেতা বলেন, কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা ছিল। তাই উভয়কে ডেকে বাঙ্গালী ঠিকাদার অফিসে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছি । 

প্রসঙ্গ, গত বছর দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ দুপুর ১২ ঘটিকা, খোলার সময় ছিল বিকাল ২ ঘটিকায়। দরপত্র জমা পড়েছে ৬টি ,মমতাজ ষ্টোর, তারিক হোসেন, বায়জিদ এন্টারপ্রাইজ, মোরর্শেদ আলম,উর্মি চাকমা  ঠিকাদারী লাইন্সেস নামে কাজ টোল আদায় কাজ পাই। কিন্ত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গোপনীয় ভাবে ১১টি ঠিকাদারী  লাইন্সেস লামে দরপত্র বিক্রি করলেও  অনেক ঠিকাদার দরপত্র ক্রয় করতে পারেনি বলে অভিযোগ ছিল ঠিকাদার খালেদ মাসুদ।

উল্লেখ্য, শুরুতে প্রথম বছর উপজেলা টোল আদায় একই সিন্ডিকেট দখলে নেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় ২৫ লক্ষ টাকা দরপত্র জমা করতে দেয়নি বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন । সেই সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার ছিল নাজিয়া শিরিণ । তৎকালিন জেলা প্রশাসক সৌরান্দ নাথ চক্রবর্তী  প্রতিবেদকসহ দুইজন সংবাদকর্মী অভিযোগ করলে তৎকালিন ইউএনও আগে কার্য্যদেশ দিয়ে পরের দিন ওসি কোতয়ালীসহ শুনানী করে। এই দরপত্র অনিয়ম নিয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পত্রিকায় শিরোনামে ও ইন্ডিপেন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সময় থেকে উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও পৌরসভা টোল আদায়  ১৫ বছর ধরে একটি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ।