প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 15, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 31, 2025 ইং
গ্রেফতার এড়াতে অভিনব পন্থায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তোতা

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ নিজের অজান্তেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন তোতা মিয়া। এমনটিই জানালেন শাজাহানপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে। শাজাহানপুরের খরনা ইউনিয়নের দাঁড়িগাছা গ্রামের মৃত বরকত উল্লাহর পুত্র তোতা মিয়া(৪৫)। পেশায় আলু ব্যবসায়ী।
গতকাল বৃহষ্পতিবার সন্ধায় শাজাহানপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তোতা মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালের ২৯ মে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাকে ১০নং সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়। যা আমার জানা ছিলনা।
বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থাকার কারণে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও খরনা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান শাহিনের সাথে চলাফেরা করতে হয়েছে। এ কারনে একটি কুচক্রী মহল আমাকে আওয়ামী লীগ বানাতে চাচ্ছে। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর কর্তৃক সদস্য নবায়ন করি। যার বহি নং-৩৭৬১৪, ক্রমিক নং-৩৭৬১৩৫৫৪, যার ফলে তালিকাভুক্ত একজন বিএনপির সক্রিয় সদস্য। ২০১৬ সালে খরনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপির সর্মথন নিয়ে সদস্য পদে নির্বাচন করি এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই তারা যেন কুচক্রী মহলের কথায় বিভ্রান্ত না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খরনা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফিজার রহমান কাজল ও সাধারণ সম্পাদক হাই রনি জানান, তোতা মিয়ার বিএনপি কোনদিন করেনি। বিএনপিতে প্রবেশের তার কোনো সুযোগ নেই। সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদধারী নেতা ছিলেন। সে পদের দাপট দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেক অত্যাচার নির্যাতন ও পুলিশী হযরানি করেছে। পাশাপাশি তাকে বিএনপি তে পুনর্বাসনের চেষ্টা যদি কোন দলীয় লোক করে সেটা আমরা নেতৃবৃন্দ হাইকমান্ড কে জানিয়ে সাংগঠনিক শাস্তির ব্যবস্থা দাবি করবো।
তার পাশেই দেখা যায় সাবেক মেম্বার রাজেক আলী যিনি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন নেতা এবং তার ছেলা ইমরান নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ একাত্তর সংবাদ